জেরিন আহমেদ: দীর্ঘদিন পর মাঠের বাইরে সভা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘শিখা চিরন্তন’ প্রাঙ্গণে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনার দীর্ঘ হয় সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। দীর্ঘ আলোচনায় ১৪ দল নেতাদের বক্তব্যে বিএনপি বধ এবং আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উঠে এসেছে।

তাদের দাবি, বিএনপি অসাংবিধানিক শক্তির ওপর ভর করে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। এজন্য তারা নানা সময় দফা পরিবর্তন করে আন্দোলন করছে। ১৪ দলীয় জোটসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্য থাকলে বিএনপির আন্দোলন হালে পানি পাবে না। তারা ক্ষমতায় যাওয়া দূরের কথা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।  বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনাকে বারবার ঝুঁকি নিতে হয়েছে। তাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত করেছেন।

শেখ হাসিনা সংবিধানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, উন্নয়নে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এতে তাদের গাত্রদাহ। এ দেশ পাকিস্তানের মতো দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়নি। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানের মিলিত রক্ত স্রোতে অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতাকামী, প্রগতিশাল, অসাম্প্রদায়িক শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রয়েছে। এ ঐক্যে ফাটল ধরার সুযোগ নেই।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, বিএনপি দেশে অসাংবিধানিক ধারা তৈরি করতে চায়, নির্বাচন পদ্ধতিকে অস্বাভাবিক করতে চায়। কোনো আপস ফর্মুলা নয়, অসাংবিধানিক দাবি মেনে নেওয়া নয়। বিএনপি-জামায়াতকে রুখে দাঁড়াবার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলার মাটিতে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের ঠাঁই হবে না।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে সাস্টেইন লিডারশিপ দরকার। তিনি দেশকে সমৃৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সম্পাদনা: এল আর বাদল